সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে বিদায় নিলেন বরেণ্য সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজুর রহমান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। জুমার নামাজের পর চকবাজার শাহী মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে কর্মস্থল এফডিসি-তে নেয়া হয়। মাগরিবের নামাজের পর তাঁকে দাফন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোটভাই শফিকুর রহমান খান ও চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সংগঠক মীর শামসুল আলম বাবু।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস ও ফুসফুসে নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। ২৫ নভেম্বর রাতে খাবারের সময় খাবার শ্বাসনালীতে আটকে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন। রাতেই তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আরেকটি স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।
মাহফুজুর রহমানের জন্ম ১৯৪৯ সালে ঢাকার চকবাজারে। তাঁর বাবা হাকিম ইরতিজা-উর-রহমান খান ছিলেন ব্যবসায়ী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাহফুজুর রহমান খান ছিলেন সবার বড়। তাঁর স্ত্রী ডাক্তার নিরাফাত আলম শিপ্রা ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ২০০১ সালের ২৭ আগস্ট মারা যান।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম ও মুস্তাফিজ ছিলেন তার ফুফাতো ভাই। এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ তাঁর খালাতো ভাই।
মাহফুজুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে “কাঁচের স্বর্গ” চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে প্রয়াত চিত্রনায়ক রাজ্জাক পরিচালিত “অভিযান” চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক হিসেবে প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পরে তিনি একই ক্যাটাগরীতে আরও ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর রাতে মাহফুজুর রহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর চলচ্চিত্রাঙ্গণে তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পরে।