তিনি যেতে চান না- কিন্তু তাকে ‘চ্যাঙ দোলা’ করে তার আসনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- ব্যাপারটা ঠিক এমনি। এই ছবিটিতে মাঝের ব্যক্তিটি হচ্ছেন অ্যানথনি রোটা। আজই (গতকাল) কানাডার জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে তার চেয়ারে বসিয়ে দিতে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আরেক পাশে এসে যোগ দিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এন্ড্রু শিয়ার।
দুজনে মিলে অনেকটা ‘চ্যাঙ দোলা’র মতো করেই তাকে নিয়ে যাচ্ছেন- স্পিকারের আসনে। নতুন স্পিকারও ভান করছেন- তিনি আসলে ওই চেয়ারটায় যেতে চান না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধী দলীয় নেতা মিলে তাকে স্পিকারের চেয়ারের বসাবেনই। এটাই আসলে কানাডার সংসদের ঐতিহ্য। জাস্টিন ট্রুডোর সংখ্যালঘু সরকারের দায়িত্বেও চিরায়ত এই ট্র্যাডিশন অক্ষুন্ন রাখতে এগিয়ে এসেছেন সরকার এবং বিরোধী দলের দুই শীর্ষ নেতা।
কানাডার জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচনের পদ্ধতিটা একটু অন্যরকমের। এমপিদের মধ্যে যারা স্পিকারের দায়িত্ব পেতে চান- তারা নিজেদের প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। সকল দলের এমপিরা অগ্রাধিকারমূলক পছন্দক্রমানুসারে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।
প্রত্যেক এমপি স্পিকার হিসেবে তাদের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পছন্দের ব্যক্তির নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। সবার ভোট দেয়া হলে সবচেয়ে কম ভোট পা্ওয়া ব্যক্তির ভোটকে তার সমর্থকদের দ্বিতীয় পছন্দের ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। যতোক্ষণ না কোনো একক প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি সমর্থন না পান ততক্ষণ এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে preferential balloting এ অ্যানথনি রোটা কানাডার জাতীয় সংসদের নতুন স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। স্পিকার হিসেবে তিনি একজন এমপির বেতনের অতিরিক্ত ৮৫ হাজার ৫০০ ডলার পাবেন। এমপি হিসেবে তার বেতন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯শ’ ডলার তো পাবেনই। এর বাইরে কুইবেকে একটি বাড়ী এবং পার্লামেন্ট হিলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট পাবেন।
কৃতজ্ঞতা : শওগাত আলী সাগর, কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক