নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী সুমন শিকদার। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড।
শনিবার রাতে রাজধানীর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাসুর এলাকায় রহিম বেপারি ঘাটে হামলা চালানো হয় সুমনদের ওপর। এই সময় ২৪ বছর বয়েসী সুমন ৫ সঙ্গীর সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এই সময় অর্ধ-শতাধিক যুবক এসে তাদের এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সুমনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী যুবকরা মুখোশ পরে এসেছিল। তারা অতর্কিতে সুমন ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত সুমন শিকদার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হাসান নূর ইসলামের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।
সুমনের ওপর কারা হামলা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের রেষারেষির কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আহতদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
নিহত সুমনের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে। তার বাবা গাড়িচালক। রাজধানীর লালমাটিয়ায় থাকতো সুমনদের পরিবার। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সুমন সবার বড়।