ইতালিতে আটক হয়েছেন ৯ বাংলাদেশি। তারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জারি করা রেড জোন আইন অমান্য করেছেন। ইতালি পুলিশ তাদের আটক করেছে নাপোলির সান জুসেপ্পে ভেসুভিয়ানো এলাকা থেকে।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের আটক করে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯ মার্চ থেকে ইতালিকে রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়। ফলে দেশটিতে খাবার, জরুরী পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের প্রায় সব সড়ক, মহাসড়ক হয়ে গেছে জনশূণ্য। এলাকার রাস্তাঘাটও প্রায় ফাঁকা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, ইতালি সরকারের নির্দেশনা তারা অমান্য করেছেন। ফলে ৬৫০ ধারায় ৯ বাংলাদেশিকে তারা আটক করেছে। এছাড়া আইন লঙ্ঘন করায় জনপ্রতি ২০৬ ইউরো করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৯ জনকেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
ইতালি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানাচ্ছেন, সব শহরের প্রবেশ দ্বারে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা সদস্যদের। তারা এক শহরের মানুষকে অন্য শহরে যেতে দিচ্ছেন না। মাইকিং করে জনগণকে ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে যারা বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন তাদের আটক করা হচ্ছে। তাদের জরিমানা কারা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে শাস্তি। এমন পরিস্থিতিতে আইন অমান্য করায় ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আটক বাংলাদেশিরা ঘরের বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে তারা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। বাংলাদেশিরা পুলিশকে জানান তারা খাবার কিনতে বেরিয়েছিল। কিন্তু এর সপক্ষে তারা কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।
পুলিশের বরাত দিয়ে পৌর প্রশাসন জানিয়েছে, রেড জোন এলাকায় নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত অনুমতিপত্র নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যেতে হয়। বাংলাদেশিরা এই আইন অমান্য করেছে। এছাড়া এক জনের সাথে আরেকজনের যে দূরত্ব বজায় রাখার কথা তারা সেই আইনটিও অমান্য করেছে। তাই তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
দেশটিতে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি বাস করেন। এর মধ্যে মাত্র কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
স্মর্তব্য, চীনের পর ইতালিই করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ইতালিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন। দেশটিতে মারা গেছেন এক হাজার ৮০৯ জন।