প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব ভোটাভুটিতে অনুমোদন পেয়েছে। মার্কিন সংসদের হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভসে প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় নড়ে উঠেছে হোয়াইট হাউসের চেয়ার। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আরও দুই জন প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের কবলে পরেছিলেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোররাতে) মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে।
ইম্পিচমেন্টের জন্য যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন প্রথম দুই দফার অভিযোগেই তা উৎরে গেছে অভিযোগটি। প্রয়োজনীয় ২১৬ ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পরেছে দুইবারই। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভসের চেয়ারের অনুমোদনের পর। সূত্র: বিবিসি, এএফপি ও এনডি টিভি।
বিশ্ব গণমাধ্যমের টপ প্রায়োরিটি পাওয়া খবরে জানা যায়, প্রথম দফায় অভিযোগের পক্ষে ২৩০ ভোট পরেছে। অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট পরে ১৯৭টি।
দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিশংসনের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ২২৯-১৯৮টি।
আগামী জানুয়ারিতে সিনেটে অনুষ্ঠেয় ভোটের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মি. ট্রাম্প অপসারিত হবেন কিনা। রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে অভিশংসনের প্রস্তাব পাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদ পূর্ণ করার একটা সুযোগ পেতে পারেন।
অভিশংসনের বিষয়ে মি. প্রেসিডেন্ট চরম বিরক্ত। ইতোমধ্যেই তিনি মন্তব্য করেছেন, ডেমোক্রেটরা মার্কিন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি ডেমোক্রেটদের আচরণকে তিনি বালখিল্যতার সাথেও তুলনা করেছেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ এনেছে, তিনি তার পদ ব্যবহার করে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনা দ্বিতীয় অভিযোগ, অভিশংসনের তদন্তে সহায়তা না করে তিনি কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।