রাজধানীতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রার্দুভাবের কারণে অসহায় মানুষের তালিকা করে প্রতিদিন ৫শ’ ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ। পুলিশের বেতন ও রেশনের টাকায় এই খাবার দেয়া হচ্ছে।
শনিবার পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর: বাসস।
তিনি জানান, ‘করোনা দুর্যোগের সময় আমরা সমাজের অসহায় মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। খাবারের অভাবে অনেকেই ছোটখাটো অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। খাবার বিতরণ কার্যক্রম অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করবে। এতে করে অপরাধ কর্মকান্ড অনেকটা কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি’।
তিনি আরও জানান, নিজেদের রেশন এবং বেতনের অর্থের মাধ্যমে এই খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের তালিকা করে প্রত্যেককে টোকেন দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে টোকেনের ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী এই খাবার দেয়া হচ্ছে।
উত্তরা বিভাগের পুলিশের ডিসি আরও বলেন, অনেকে ত্রানের জন্য জনসম্মুখে না এসে তারা সাহার্য্যের জন্য পুলিশকে ফোন করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ কেজি চাল, ডাল, তেল, চিনি, আলু ও সাবান সামগ্রি বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।
এছাড়া ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশক্রমে ৫০টি থানায় প্রতিদিন ৫০ জন হারে প্রায় আড়াই হাজার দুঃস্থ, অসহায়, গরিব ও মেহনতি মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা বিভাগের ডিসি নাবিদ কামাল শৈবাল।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের এয়ারপোর্ট জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, উত্তরা বিভাগের ৬টি থানা উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর থানা এলাকায় ১৮০ জন করে প্রকৃত অসহায় মানুষের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিদিন রান্না করে ৬টি থানায় তালিকাভুক্তদের কাছে খাবার পৌঁছানো হয়।
দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিকদার মোহাম্মদ শামীম জানান, দক্ষিণখানে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১শ’ জন ও থানার পক্ষ থেকে ৮০ জন করে মোট ১৮০ জন গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল মোত্তাকিন বলেন, তুরাগ থানা এলাকায় প্রতিদিন ১৮০ জন গরিব, ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।