উহানে বসবাসরতরা আজ দেশে ফিরছেন

১৮ শিশুসহ ৩৬১ জন মধ্যরাতে দেশে ফিরছেন

0
1592
ফাইল ছবি

চীনের উহান প্রদেশে থাকা বাংলাদেশিরা আজ মধ্যরাতে দেশে ফিরছেন। মোট ৩শ’ ৬১ জনের দেশ ফেরার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন শিশুসহ ১৯টি পরিবারের সদস্যরা। এর আগে, গত সাত দিনের মধ্যে তিন জন শিক্ষার্থী চীন থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদের ঢাকা ও চট্টগ্রামের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, বাংলাদেশিদের বহন করা বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। ফ্লাইটটি আজ রাত ১২টার পর ঢাকা এসে পৌঁছানোর কথা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন থেকে দেশে ফিরতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩শ’ ৬১ জন নাম নিবন্ধন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে ফেরার ছাড়পত্র দেয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে আজই উহান প্রদেশে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আশকোনার হজ্ব ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই আইস্যুলেশ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। চীন থেকে আসা বাংলাদেশিদের সেখানে রাখা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চীন থেকে বিস্তার হওয়া করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ম্যাকাও, সিঙ্গাপুর ও নেপালসহ ১৯টি দেশে ছড়িয়ে পরেছে। এতে মারা গেছে দু’শোর বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে।

চীন থেকে দেশে ফেরা ৩শ’ ৪১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন করোনারী ভাইরাস বহনকারীকে দ্রুত আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে স্থানান্তরের বিষয়ে বিমান বন্দরে নির্দেশনা দেয়া আছে।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আলাদা আইস্যুলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের এই সময়ে চীনে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া চীনাদেরও ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।