এক্সপ্রেসওয়ে বদলে দিল মানচিত্র

* ৫৫ কিলোমিটারের একএপ্রসওয়ে, * উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

0
1484

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত হলো জনগণের জন্য। উদ্বোধনের পর যাতায়াত শুরু করেছে গণপরিবহনসহ সবধরনের যানবাহন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, খুব ইচ্ছা ছিল নিজে গিয়ে উদ্বোধন করার। কিন্তু পারলাম না। এক মাসের মধ্যেই যেতে পারি। এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তার সহজাত রসবোধ দিয়ে বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারবো।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়েটি। এতে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেনসহ মোট আটটি লেন রয়েছে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা (ফরিদপুর) পর্যন্ত নতুন এই সড়ক ব্যবস্থাপনায় উপকৃত হবেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরাও।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সবসময় অবহেলিত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি করেছি। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। এই সড়কগুলো উদ্বোধনের ফলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে পদ্মাসেতু প্রসঙ্গেও কথা বলেন। বললেন, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (দুর্নীতির) তুলেছিল। আমি সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়েছে, সেখানে (পদ্মা সেতু প্রকল্পে) কোন দুর্নীতি হয়নি।

উল্লেখ্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে ২০১৬ সালে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর এবং ফরিদপুরে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে এবং এটি নির্ধারিত সময়সীমার তিন মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষ করে। নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২০২০ সালের ২০ জুন।

এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচটি ফ্লাইওভারের মধ্যে একটি ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ (কদমতলী-বাবুবাজার লিংক রোড) ফ্লাইওভার রয়েছে। অন্য চারটি ফ্লাইওভার হলো আবদুল্লাহপুর, শ্রীনগর, পুলিয়াবাজার এবং মালিগ্রামে।

৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে জুরাইন, কুচিয়ামোড়া, শ্রীনগর ও আটিতে চারটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ রয়েছে এবং চারটি বড় সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ধলেশ্বরী -১ সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৬৩ মিটার, ধলেশ্বরী -২ সেতুর দৈর্ঘ্য ৫৯১ মিটার, আড়িয়াল খাঁ সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৬৬ মিটার এবং কুমার সেতুর দৈর্ঘ্য ১৩৬ মিটার।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ডক্টর আজমদ কায়কাউস।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।