সারা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জন চিকিৎসক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য মূলত করোনা চিকিৎসায় সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আক্রান্ত ৬৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে দুই জন আইসিইউ-তে রয়েছেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়ায় তাদের আইসিআই-তে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৭৫ জনের মধ্যে এক জন চিকিৎসক রয়েছেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার মাঈনুদ্দীন করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকদের মানসম্পন্ন এন৯৫ মাস্ক ও সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয়া হয়নি বলে তারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন।
বিএমএ-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্যর্থতা ও দায়িত্বজীনতার কারণে চিকিৎসক ও নার্সরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ভাষ্য, অপরিকল্পিতভাবে সব চিকিৎসককে এক সাথে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করা এবং নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণেই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক আর্ট নিউজকে বলেন, এখনও সময় আছে চিকিৎসকদের রক্ষা করার। একটানা কারও পক্ষে ডিউটি দেয়া সম্ভব না। তাই কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত চিকিৎসকদের নিয়ে অন্তত ৬টি টিম তৈরি করতে হবে। তিনটি টিম ৭ দিন বা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বা বিশ্রামে থাকবে। এই সময় অপর তিনটি টিম তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে। এই তিন টিম আবার কোয়ারেন্টাইন বা বিশ্রামে গেলে কোয়ারেন্টাইন বা বিশ্রামে থাকা কাজে ফিরবে এবং তিনটি টিম তিন শিফটে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৫ জন মারা গেছেন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে। এ নিয়ে দেশে মোট ৭৫ জনের মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৮৩৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।