করোনা: আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার

0
820

দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২ হাজার ৪৫৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দেশে আরও ৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১। এ ছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন আরো ৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন।

দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে নিজ বাসা থেকে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। খবর: বাসস।

অধিদফতর থেকে অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা। এ সময় পরিচালক (এমআইএস) ডাক্তার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১৯টি পরীক্ষাগারে ২ হাজার ৬২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮২৫ জনের। এতে ২ হাজার ৪৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভেন্টিলেটর মেশিনে চিকিৎসা নিয়েছেন, এমন ৯ জন রোগীর মধ্যে ৮ জনই মারা গেছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে আদেশ দেয়া হয়েছে। সারাদেশে ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে।’

করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা পালন হচ্ছে না। লকডাউন সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। আক্রান্ত লোকজন নতুন নতুন এলাকায় যাচ্ছেন। ফলে, ওইসব এলাকার লোকজনও আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।

করোনা যুদ্ধে মূলমন্ত্র ঘরে থাকা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা সংখ্যা বাড়াতে হবে, ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে থাকতে হবে। একটু কষ্ট করে ঘরে থাকুন, তাহলে আমাদের জয় আসবেই। সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো এগিয়ে এসেছে। এরমধ্যে দুটি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। নতুন করে কয়েকটি সরকারি হাসপাতালকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরে করোনার জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে, জেলা শহরগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৩১২ জনের মধ্যে ৬৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৪ শতাংশ নারী। তাদের মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৪৪ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ বাকি ২৫ শতাংশ সারাদেশের। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঢাকার পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জন ঢাকার এবং ৪ জন নারায়ণগঞ্জের।