গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ১১০ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া নতুন করে আরও ৪৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে মোট ৮৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গতকালের চেয়ে আজ আক্রান্ত কমেছে ৫৮ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিল ৪৯২ জন।
তিনি জানান, ‘করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৭৮টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৩৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ নমুনা সংগ্রহ বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পরীক্ষা বেড়েছে ৭ শতাংশ।’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। বয়স বিশ্লেসণে দেখা গেছে, এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের ৩ জন এবং ৪০ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৮৯ জনকে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৭৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫৭৯ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টোইনে নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৬৮ জনকে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৪২৪ জনকে। এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৭ হাজার ১২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫৯২ জনকে এবং এ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০৬ জনকে। বর্তমানে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৩১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন। মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৩ হাজার ৮০২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ১৯২ জন। তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, তবে তাদের এ মুহূর্তে ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।