ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) সম্প্রচার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সম্প্রচার সাংবাদিকদের করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় শিগগিরই গাইড লাইন তৈরির বিষয়ে ভাবছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সব বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। বিজেসি’র সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ জানান, সভায় করোনা ইস্যুতে কার্যকর আলোচনা হয়েছে। তিনি বিজেসি’র ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন,
“করোনার কালে সন্ধ্যায় বিজেসি অফিসে ছোট উপস্থিতি কিন্তু কার্যকর আলোচনা হল!
১. করোনা ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের সম্প্রচার কর্মীদের ঝুঁকি সর্বোচ্চ কমিয়ে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আহবান জানানো হয়। বলা হয়, জনসমাগম স্থানে কর্মীদের যথাসম্ভব কম অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে । জনাকীর্ণ প্রেস কনফারেন্সের পরিবর্তে একেকজন সাংবাদিকের জন্য যথেষ্ট জায়গা রেখে সম্মেলনের জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে কোন কোন সংবাদ সম্মেলন ডিজিটাল মাধ্যমে করা যেতে পারে।
২. রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানের মাঠে যাওয়া কমাতে অ্যাসাইনমেন্ট এডিটরদের একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা। সেখানেই তারা অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ারের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিজেসি অফিসে অথবা ইআরএফ-এর অফিসে ফুটেজ আপলোডের ব্যবস্থাপনা তৈরী করা হবে… যেন বাকিরা সহজে ফুটেজ পেয়ে যায়।
৩. কর্মীদের ব্যবহারের জন্য
হ্যান্ড স্যানিটাইজার আপাতত বাল্ক কিনে বিজেসি অফিসে বোতলজাত করে হাউস প্রতিনিধির
মাধ্যমে সকল সদস্যের মধ্যে বিতরণ করা!
স্যানিটাইজার বোতলজাতের সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
৪. ওই প্যাকেটে স্যানিটাইজার ছাড়াও প্রতি হাউসের জন্য ২০টি করে ফুল বডি ওয়ান টাইম মেডিকেল গাউন দেয়া।
৫. ইমপালস হাসপাতালের ২৫ ভাগ ছাড়ের সুবিধা পেতে সদস্যের নামের সংগে এখন পরিবারের সদস্যদের নামের তালিকা তৈরী করে জমা দেয়া; দপ্তর কমিটির মাধ্যমে আফজাল কাজটি শুরু করবেন। এজন্য একটি ফরম আপ করা হবে; যারা সম্মেলনে পূরণ করেননি তাদের পূরণ করার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হবে।
৬. করোনায় সম্প্রচার সাংবাদিকতা ঝুঁকি মোকাবেলা গাইডলাইন দ্রুত তৈরী করা।
৭. ১ এপ্রিল থেকে বিজেসি নিউজ সাইট চালু করা।”