গাজীপুরে পুলিশের ৩৩ জন সদস্যের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এদের মধ্যে ২৬ জন গাছা ও ৭ জন কালীগঞ্জ থানার।
সোমবার রাতে গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, থানা এলাকার বটতলায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন একজন এএসআই। ওই বাসায় একজন নারী প্রথমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে গিয়ে ১৩ এপ্রিল ওই এএসআই করোনায় আক্রান্ত হন।
১৬ এপ্রিল গাছা জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনারসহ আরও তিন জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে শুধু বাবুর্চি পুলিশ সদস্য নয়।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর একটি টিম থানার আরও ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। এদের মধ্যে ২২ জনের দেহেই করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার পাওয়া সবশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ২৬ জন পুলিশ ও বাবুর্চি, এই ২৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
শনাক্ত হওয়া ২৬ জনের মধ্যে একজন সহকারি কমিশনার, একজন পরিদর্শক (তদন্ত) ও তিন জন নারী সদস্য রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গাছা থানার আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, কালীগঞ্জ থানার ৭ পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। থানার আরও কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের নমুনা আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের মোট কতজন আক্রান্ত হয়েছেন।
গাছা ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ৩৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস নিশ্চিত করেছে।