আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে বলে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবনের নিজের সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থান ভালো হলেও পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতিশীল। বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক দশকে বাংলাদেশ যেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জন করেছে, তার কারণেই এই সঙ্কটকালে এতো বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা ও ত্রাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ এবং এক কোটি মানুষকে রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। একই সাথে ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান সমসাময়িক বিশ্বে নজিরবিহীন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসেবা পরিস্থিতির কারণে সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ রোগীরা অন্যান্য রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সুরক্ষা সামগ্রি ব্যবহার করে প্রতিদিন সামান্য সময় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়ম প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। তাই সামান্য অপরাধ করলেও কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ইতোমধ্যে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত, প্রশাসনিক ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ তারই প্রমাণ।
ঈদ কেনাকাটার জন্য তিনি শপিংমলে না গিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে শপিং করার আহ্বান জানান।