
ভারত সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য তাদের চিকিৎসা সামগ্রির দ্বিতীয় চালান হস্তান্তর করেছে। চিকিৎসা সামগ্রির মধ্যে রয়েছে ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস।
রোববার এসব চিকিৎসা সামগ্রি হস্তান্তর করেন। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলি বাংলাদেশ সরকারের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ ভারতের এই নীতি অনুযায়ী এবং এই অঞ্চলের প্রতি ভারতের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জরুরী চিকিৎসা সামগ্রি বাংলাদেশকে দেয়া হচ্ছে। এই সহায়তা এসেছে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরী তহবিলের আওতায়।
হাইকমিশন জানায়,কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করাও এই সামগ্রি দেয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ভারতের সহায়তার প্রশসা করে বলেন, সঙ্কটের সময় প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই।
ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলী আবারও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
ভারতের দেয়া এ চিকিৎসা সামগ্রি কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইতে সহায়তা সামগ্রি ভারত থেকে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ ভারতের দেয়া সহায়তা সামগ্রির প্রথম চালান বাংলাদেশ সরকারের কাভারতের দেয়া এ চিকিৎসা সামগ্রি কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইতে সহায়তা সামগ্রি ভারত থেকে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ ভারতের দেয়া সহায়তা সামগ্রির প্রথম চালান বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলি সামগ্রিগুলো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রথম চালানে ছিল ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ১৫ হাজার হেড কাভার।