ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মনোনীত কাস্তে মার্কার মেয়র প্রার্থী ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে পরিস্থিতি ততোই নাজুক হচ্ছে। দুই প্রার্থীর আচরণবিধি ভাঙার প্রতিযোগিতায় নির্বাচন কমিশন নির্বিকার।
সোমবার বিকেলে আদাবর শনিরবিলে অনুষ্ঠিত পথ সভায় রুবেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, কমিশন বলছেন লিখিত অভিযোগ পেলে ওনারা দেখবেন। মনে হয় ওনাদের চোখ দিয়ে দেখার বা কান দিয়ে শোনার ক্ষমতা কোথাও বাঁধা পড়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগ-বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী মিছিল করছেন, সকাল থেকে মাইক প্রচার শুরু করছেন, রঙিন পোস্টার দেয়ালে সাঁটাচ্ছেন, কোথাও বা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। পত্রিকায়, মিডিয়ায় সেসব খবর বের হচ্ছে। ঢাকার ভোটাররাও তা চাক্ষুষ করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের মোবাইল কোর্ট সেগুলো দেখেন না।
রুবেল বলেন, আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে কথা বলছি, গণসংযোগ করছি। তাঁদের মধ্যে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ সংশয় দূর করার জন্য কমিশনকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও সাধারণ ভোটররা সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। তাঁরা বড় দুই দলের বিকল্প চায়। সিপিবি হচ্ছে সেই বিকল্প শক্তি।
ডাক্তার রুবেল আজ শেখেরটেক ১ থেকে শুরু করে ১৭ নম্বর রোড, মুনসরেবাদ হয়ে আদাবর এলাকায় গণসংযোগ শেষে প্রথমে আদাবর শনিরবিল ও পরে ঢাকা উদ্যানে পৃথক দুটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ডা. রুবেল আরও বলেন, ঢাকা থেকে একের পর এক বস্তি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এদের অনেকেই বাউনিয়া বাঁধ, শনির বিল এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন সেখানেও তাঁরা নিরাপত্তাহীন থাকছেন। এভাবে দেশের নাগরিকদের দুঃসহ জীবন মেনে নেয়া যায় না। আমরা নির্বাচিত হলে বস্তি উচ্ছেদ না, বস্তির পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করব। এসব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আহসান হাবিব লাবলু, সিপিবি’র ঢাকা কমিটির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা লুনা নূর, সাদিকুর রহমান শামিম, শ্রমিকনেতা আসলাম খান, কৃষক নেতা মোতালেব হোসেন, যুবনেতা আলী কাউসার মামুন, নুরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।
এদিকে ডা. রুবেলের কাস্তে মার্কার পক্ষে মিরপুর ১৩, রাকিন সিটি, মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, কচুক্ষেত তেজগাঁও, কুনিপাড়া এলাকায় মাইক প্রচার ও গণসংযোগ করা হয়।
মঙ্গলবারের কর্মসূচি :
সকাল ১০টা থেকে সেনপাড়া ১নং বিল্ডিংয়ের সামনে হতে গণসংযোগ শুরু হবে। দুপুর ২টার পরে সেনপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর, কাজীপাড়া, ইব্রাহিমপুর ও পুলপাড়ে পাঁচটি পৃথক পথসভা।