বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর শিক্ষার্থী ২৫ বছর বয়েসী মিজানুর রহমান মিজানকে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা। পুলিশ এক সপ্তাহের মধ্যেই তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালককে পুলিশ এখনও আটক করতে পারেনি। পুলিশের ধারণা, ঘটনার সাথে চালকও জড়িত।
গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে হাতিরঝিল সংলগ্ন কাওরান বাজার রেলক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার থেকে মিজানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সবিলপুর এলাকায়। তার বাবার নাম আমির হোসেন।
এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে।
নিহত মিজান লেখাপড়ার পাশাপাশি বনানীর একটি ফোর স্টার হোটেলে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে চাকরি করতেন। ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি করে শেওড়ার বাসার দিকে রওনা হন। মিজান সিএনজিতে ওঠার পর দুই ছিনতাইকারী সিএনজিতে উঠে পড়ে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সিএনজি হাতিরঝিল এলাকায় ঢুকে ফ্লাইওভারে ওঠে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাকে ফ্লাইওভারে ফেলে চলে যায়।