করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর মামলায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনসহ দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ছাড়া অপর আসামি হলেন রাষ্ট্রচিন্তা নামক একটি সংগঠনের সদস্য দিদারুল ইসলাম।
করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, রমনা থানার এসআই জামশেদুল ইসলাম আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশেফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও বাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এ সুনাম ক্ষুন্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। একই উদ্দেশে অপপ্রচারসহ সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও আনা হয় রিমাণ্ড আবেদনে। বলা হয়, মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রকৃত ঘটনা উদ্ধারে আসামি মিনহাজ মান্নান ইমন ও দিদারুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া জরুরী।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিন, উভয় আবেদন সম্পর্কে অবহিত হয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠোনোর আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ ছুটি শেষে রিমান্ডের শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার কার্টুনিস্ট আহম্মেদ কবির কিশোর ও মুশতাককে আটক করা হয়। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার আটক করা হয় মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ইসলামকে। র্যাব তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করে।
এই চার জনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়।