
যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য এখন কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ঘুষ দেয়া ও নেয়া… দুইটাই অপরাধ। অথচ এই কালচারটা বিএনপি শুরু করেছে। এসময় তিনি ঢাকা-রোম রুটে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোরও আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার রোমের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পার্কো দ্য প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পা’য় বাংলাদেশ কমিউনিটির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। প্রত্যেক মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।
এসময় শেখ হাসিনা কথা মুজিব বর্ষ নিয়ে। মুজিব বর্ষের নানা আয়োজনের কথা জানান প্রবাসীদের।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে ঢাকা-রোম রুটে আবারও বিমানের ফ্লাইট চালু করার অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে ১২টি নিজস্ব বিমান রয়েছে। শিগগিরই আরও তিনটি বিমান যোগ হবে। বিমানের রুট বাড়িয়ে অনেক দেশে যাতায়াত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ইতালিতে বিমানের রুট চালুর বিষয়ে দেশটির সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী। সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ, ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কিটন শিকদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জার্মান, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, স্যুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টির দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিবেন। বৈঠকে তিনটি দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রস্তাবিত চুক্তিগুলি সাংস্কৃতিক বিনিময়, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক আলোচনা সংক্রান্ত। বৈঠকের পর যৌথ ইশতেহার জারির কথা রয়েছে। এছাড়া ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন প্লাজো চিগিতে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিবেন। দুই শীর্ষ নেতার আলোচনায় দ্বি-পাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু ছাড়াও বৈশ্বিক নানা বিষয় স্থান পাবে বলে জানা গেছে।
দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর ইতালির শীর্ষ ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন পার্কো দ্য প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পা’য়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে দেখা করবেন শেখ হাসিনা। ভ্যাটিকান সিটি থেকে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে রোম থেকে ট্রেনে মিলানের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।
মিলান সফরে অ্যাক্সেলসিয়র হোটেল গালিয়ায় অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা। পরদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি এমিরাটসের একটি ফ্লাইটে মিলানের মালপেন্সা বিমান বন্দর থেকে রওনা হবেন। দুবাই হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।