চাঁদাবাজি নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
966

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পরিবহন খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চাঁদাবাজি। এখানে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। এই চাঁদা আদায়ের জন্য এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতার ধর্ম নেই। চাঁদার ব্যাপারে সবাই একমত। এ খাতে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একাংশ আয়োজিত জেলহত্যা দিবস ও শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তিনি এক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতায় বলা যায় পরিবহন সেক্টরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চাঁদাবাজি। এ সেক্টরের চাঁদার সমস্যা সমাধান করতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আলোচনায় বসতে পারতেন। তা না করে আগে ধর্মঘট ডেকে দিলেন মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য। এটা ঠিক করেননি। বিএনপিকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, আইনটি প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট শুরু হয়ে গেল। জনগণকে জিম্মি করে যে ধর্মঘট হয়, তাকে আপনারা সমর্থন করবেন, এই রাজনীতি আমরা করি না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নাসিম বলেন, ক্যাসিনো কাণ্ড নিয়ে যদি এত ব্যবস্থা করা যেতে পারে, তাহলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাসিনো কাণ্ড যারা করে, তারা অপরাধী। তাহলে কেন পরিবহন সেক্টরে যারা জনগণকে জিম্মি করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না? শক্ত করে ব্যবস্থা নেন, তাহলে এই পরিবহন সেক্টরে কেউ ধর্মঘট করার সাহস পাবে না। এ সময় জনগণকে একটু ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান এই বর্ষিয়ান নেতা।

শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করা যায় কি না, সে ব্যাপারে সংসদে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কাদের খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ প্রমুখ।