আদালতে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার হাতে প্রহৃত হয়েছেন একজন নারী। রাজশাহী মহানগরের বসুয়া এলাকায় বাড়িতে ঢুকে নারীকে জখম করার ঘটনাটি ঘটেছে। রূপালী বেগম নামের ৪০ বছর বয়েসী ওই নারী বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার দিবাগত রাতে অটোরিকশা চালক বাদল আলীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা মাহবুবুল আলম কাজল।
রাজশাহী মহানগরীর ৯ নাম্বার ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর রুকন (পূর্ণাঙ্গ সদস্য) মাহবুবুল আলম কাজল দলীয় প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ একাডেমির পরিচালক। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে।
চিকিৎসাধীন রূপালী জানান, তার ছেলে অনিক পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কাজলের বিসমিল্লাহ একাডেমির ছাত্র ছিল। এক বছর আগে তাকে পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। এতে ক্ষেপে যায় কাজল। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে রূপালী বেগমের পরিবারের সদস্যদের কাজল হুমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যেই গত বুধবার বিকেলে মাঠে খেলার সময় কাজলের ছেলে সাথে মারামারি হয় অনিকের।
দুই শিশুর মারামারি ঘটনাকে পুঁজি করে কাজল রাত ৯টার দিকে রূপালীর বাড়ি যায়। রূপালীর স্বামী বাদল তখন বাড়ি ছিল না। কাজল ঘরে ঢুকেই রূপালীকে এলোপাথাড়ি মারধর এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। রূপালীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং রাজপাড়া থানায় নিয়ে যায়। জখম বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ রূপালীকে হাসপাতালে পরামর্শ দেয়।
প্রতিবেশিরা জানান, জামায়াত নেতা কাজল এলাকায় সবার সাথে দুর্ব্যবহার করে। সে জামায়াতের নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলে না। এতে দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকজন প্রতিবেশি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে জানান, কাজলের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ভিকটিম রাতেই থানায় এসে ঘটনা অবহিত করেছেন। তবে এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবসআ নেয়া হবে।