তোপের মুখে মন্ত্রী

0
1984

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তোপের মুখে পড়লেন সংসদ অধিবেশনে। নিজ দলের সদস্যরাই মন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। এ সময় মন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, তাদের নাম তালিকায় আছে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে সব অ্যাভিডেন্স আছে।

বৃহস্পতিবার স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তার প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকারের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তৈরি করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ১০ হাজার ৭শ’ ৮৫ জন রাজাকার, আল বদর, আল শামস-সহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়। প্রাপ্ত তালিকাটিই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে হুবুহু প্রকাশ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যেহেতু এই তালিকা প্রস্তুত করেনি, তাই কারও গাফিলতি থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

আ ক ম মোজাম্মেল হকের এই ব্যাখ্যার পর সম্পূরক প্রশ্নে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন জানতে চান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেই এ কথা সরাসরি বলা যায় না। কারণ, তালিকাটি ওই মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তালিকা ঠিক আছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। প্রকৃত রাজাকাররা এই তালিকায় আসেনি।

এরপর মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমি দুঃখপ্রকাশ করে তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।  ভবিষ্যতে যেন আর ভুল-ত্রুটির পনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং যাচাই বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করবো।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল আমরা কোন তালিকা করবো না। স্বাধীনতা বিরোধীদের যেই তালিকা বিদ্যমান সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। মন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে মেজর (অব.) রফিক বললেন, আমি মন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। কেননা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি দিয়েছে সেটা আমরা জানি না। যেহেতু মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাই তারাই তালিকাটি প্রকাশ করতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী কেন সেটা প্রকাশ করলেন? উনি (আ ক ম মোজাম্মেল হক) সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে পারিননি, পারবেনও না।