তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডাটাবেজে দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের তালিকা প্রণয়ন করা হলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আরো সুষ্ঠু ও সহজ হবে। এই কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী নাটোরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম এবং আইনশৃংখলা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। খবর: বাসস।
পলক বলেন, সীমিত সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সহায়তা সমন্বিত করে আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। সমালোচনা নয় সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ৪০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে, আগামী ৪০ দিন অতিক্রান্ত হলে আমরা নিরাপদ জায়গাতে যেতে পারবো বলে আশা করি। আগামী তিন মাস ২২ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং ৩০ ভাগ কর্মহীন মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিতে হবে।
এই জনগোষ্ঠির ডাটাবেজ তৈরী করে কিউআর কোড ব্যবহার করা হলে ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফল হবে এবং এই কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত নীতিমালার আলোকে সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত একটি পাবলিক প্রেসক্রিপশন থাকলে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে উপকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলোর চাহিদা নিরুপণ ও করণীয় কার্যক্রমের সমন্বয়ে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করা যেতে পারে।
সভায় উপস্থিত করেনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও ত্রাণ সামগ্রী সমন্বয় নাটোর জেলা কমিটির সমন্বয়কারী পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, জেলার চাহিদা অনুযায়ী দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, জেলায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোস্তফা আরিফুর রহমান, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডাক্তার কাজী মিজানুর রহমান, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, নাটোর পৌরসভার মেয়র ঊমা চৌধুরী জলি প্রমুখ।