যুদ্ধাপরাধীদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলছে। এই বিতর্কে এখন পর্যন্ত সবশেষ সংযুক্তি এবিএম আবদুল খালেক।
রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নাম এসেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার এবিএম আবদুল খালেকের (মৃত) নাম। অথচ তিনি গেজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিবার্তায় তার নাম্বার ০৬০৩০২০৪১৩, গেজেট নাম্বার ২০২।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এবিএম আবদুল খালেক তার অফিসের (C.O Dev.) সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি মুক্তিবাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। বাইফলে সেটিই ছিল একমাত্র সাইক্লোস্টাইল মেশিন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে খুঁজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি বাউফলের মদনপুরায় হানা দেয়। সেখানে তাকে না পেয়ে বাড়ির পাঁচটি ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং ১৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন আবদুল খালেক। তার এই সাহসিকতার কথা উল্লেখ করে যুদ্ধের পর পটুয়াখালী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিলের কমান্ডার ও যুদ্ধকালীণ সময়ের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সংগঠক কমরেড মোকছেদুর রহমান প্রত্যয়নপত্র দেন।
মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রাজাকারের তালিকায় নাম দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবদুল খালেকের পরিবারের সদস্যরা। আবদুল খালেকের ছেলে মামুন বলেন, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকা অপমানজনক।