বাংলাদেশে আরও চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়াল। আক্রান্ত চারজনের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। মারা গেছেন একজন। এছাড়া করোনা ভাইরাসের তীব্র লক্ষণ থাকা ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪২ জন। এদিকে, ৩০ জন বিচারক ও ৪ জন চিকিৎসক দেশের বিভিন্ন স্থানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এই ৩৪ জনসহ সারা দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬ হাজার ৩৪৯ জন।

এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরে প্রতিষ্ঠিত সমন্বিত কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভাইরাসটি শনাক্ত করতে আরও ৫টি ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীর আইপিএইচ ল্যাব ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও সিলেটে একটি করে ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এই ল্যাবগুলো ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, শিগগিরই দেশের ৮টি বিভাগে নতুন করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে। ইউনিটগুলো থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার হবে।

এদিকে, আইইডিসিআর-এ বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে কোয়ারেন্টাইনে ৬ হাজার ৩৪৯ জন রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডাক্তার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান,ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৯৫৯ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ৬৩৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, রংপুর বিভাগে ১০৯ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৬৯ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তিনি বলেন, জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে চাঁদপুরে। সেখানে আছেন ১ হাজার ৭৪ জন।