ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

0
1739

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার এসআই আবদুর রকিব খান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এক তরুণীর করা মামলায় গ্রেফতার হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর মেজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামি বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বিয়ের প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করা হয় এসআই বাপ্পীর বিরুদ্ধে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শেরে বাংলা নগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাপ্পীর রিমান্ড না চেয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। অন্য দিকে, বাপ্পীর আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আদালত ৭ জানুয়ারি জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করে এসআই বাপ্পীকে কারাগারে পাঠান।

মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই তরুণী অভিযোগ করেন, এসআই বাপ্পী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বাপ্পী ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং তার মাধ্যমে তরুণীর সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার হুমকি দেয়।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করতে অভিযোগকারী তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাপ্পীর সাথে তরুণীর প্রেম চলছে ৫ বছর ধরে। এরই মধ্যে বাপ্পী পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। এই সময়েই বাপ্পী একাধিকবার বিয়ের কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ করে।
অভিযোগে বলা হয়, কিছু দিন ধরে বাপ্পী বিয়ের বিষয়ে টালবাহানা শুরু করে।

বৃহস্পতিবার সকালে এসআই বাপ্পী আগারগাঁওয়ের একটি বাসায় তরুণীকে ডেকে নেয়। সেখানে তরুণীকে গোপনে ধারণ করা তার কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে। ভিডিও ক্লিপগুলো দেখিয়ে এসআই বাপ্পী তরুণীকে আবার ধর্ষণ করে। এরপর তরুণী ৯৯৯-এ ফোন করে শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ বাপ্পীকে আটক করে।

পুলিশের মধ্যস্থতায় দিনভর সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তরুণীর অনড় অবস্থানের কারণে রাতে এসআই বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে থাকা এসআই বাপ্পীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে।