স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমীন রুম্পাকে শারীরিক নিপীড়ন করা হয়নি। পুলিশ ধারণা করছিল হত্যার আগে রুম্পাকে ধর্ষণ করা হয়। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, ময়নাতদন্তে তিনটি টেস্ট করা হয়েছিল। এরমধ্যে বায়োলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তা থেকে জানা গেছে রুম্পা শারিরীক নিপীড়নের শিকার হয়নি। রোববার বাকি দুইটি রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনটি রিপোর্ট পেলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে জমা দেয়া হবে।
এর আগে ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, নিহত রুম্পার হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েকটি স্থানের হাড় ভেঙেছে।
স্মর্তব্য, ৪ ডিসেম্বর রাত পৌণে ১১টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৬৪/৪ নাম্বার বাসার সামনের রাস্তায় অজ্ঞাত তরুণীর মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। ৯ দিন পর জানা গেল মৃত্যুর আগে রুম্পা ধর্ষণের শিকার হয়নি।
তবে বয়ফ্রেন্ড আবদুর রহমান সৈকত রুম্পাকে হত্যা করতে পারে বলে পুলিশ এখনও সন্দেহ করছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখছে। ৫ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
নিহত রুম্পা মালিবাগে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাবা হবিগঞ্জের একটি ফাঁড়িতে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।