পদত্যাগ করলেন জাস্টিন ট্র‍ুডো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক (কানাডা): পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র‍ুডো । দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা থাকা জাস্টিন ট্র‍ুডো পদত্যাগ করতে পারেন বলে কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। একটানা বেশি দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার রেকর্ড করেন জাস্টিন ট্র‍ুডো । তার পদত্যাগের ঘোষণায় দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন তিনি।

সোমবার রাজধানী অটোয়ায় নিজ বাসার বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। এ সময় তিনি জানান, তার দল লিবারেল পার্টি একজন উত্তরসূরি বেছে নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

জাস্টিন ট্র‍ুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৫ সালে। পরপর ৩টি নির্বাচনে লিবারেল পার্টি জয়ী হলে তিনিও টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এরমধ্যেই জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

গত কয়েক বছরে অভিভাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপক চাপ পড়ে কানাডার অর্থনীতির ওপর। এতে আবাসন ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। এই সংকট মোকাবেলায় ট্র‍ুডো সরকারের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার জনপ্রিয়তায় ভাটার টান পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে গেল বছরের অক্টোবরে প্রাদেশিক ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করজারভেটিভ পার্টির কাছে ব্যাপক ভরাডুবি ঘটে লিবারেল পার্টির। সেই নির্বাচনের পর থেকেই তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে। এই চাপ বেড়ে যায় অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ডিসেম্বরে ট্র‍ুডোর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পদত্যাগ করলে।

দলের ভিতর ও বাইরের বৈরিতার কারণে লিবারেল পার্টির নেতা-কর্মীরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাস্টিন ট্র‍ুডো দলীয় প্রধানের পদ ছাড়বেন, এমনটাই চাইছিলেন। তাদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, বড় ধরণের কোনো ঘটনা না ঘটলে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত দলীয় একজন এমপি-কে প্রধানমন্ত্রীর করে সরকারের দায়িত্বে থাকবে। পদত্যাগের ঘোষণার সময় জাস্টিন ট্র‍ুডো জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

এ সময় তিনি বিমর্ষ ভঙ্গীতে বলেন, আমার দুঃখ যে আমাদের নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারলাম না। বর্তমান পদ্ধতিতে একজন ভোটারের পক্ষে ব্যালট পেপারে দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো বিকল্প বেছে নেয়ার সুযোগ নেই। বরং এটি এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে লাভবান হবেন সেইসব রাজনীতিকরা যারা মেরুকরণ ও বিদ্ভেষ ছড়ানেোর রাজনীতি করেন। খবর: রয়টার্স, বিবিসি ও এনডিটিভি।

জাস্টিন ট্রুডো/এটি/কিউটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *