ডাক্তার কান্তা মোরশেদ প্রকৃতিপ্রেমী। ফেসবুকে নিয়মিতই লিখেন প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে। আজ তিনি লিখেছেন বাসার আশপাশে থাকা পাখিদের নিয়ে।
এলোমেলো কড়চা
শুভ সকাল।।
৪৫, নিউ ইস্কাটনের এই আবাসস্থলটি আমার বড়ই প্রিয়। সকালের সময়গুলোও। কয়েকদিন থেকে পাখিরা আসছেনা। এসে কিছুক্ষণ বসে…. উড়ে যাচ্ছে। ওদের খাওয়া শেষ হয়ে গ্যাছে। আজ অফিসের পরে প্রথম কাজ — পাখিদের খাওয়া কিনতে যাওয়া!
এদের অলস আসলে বানিয়েই ফেলেছি। ঘুম থেকে উঠে কবুতর টিয়া দোয়াল শালিখেরা কই খাওয়া খুঁজতে বের হবে! তাতো না…. রেডিমেড ব্রেকফাস্ট! এরপর সেকেন্ড দফা খেয়ে কিছু ঘুরাঘুরি করে বিয়ামের জলছাদের জমাপানিতে উনারা শাওয়ার করেন। দুপুরে লাঞ্চের আগে আবার তাদের দেখা পাই। উনারা বিকালে কিছু খান না। সন্ধ্যায় বিয়ামের এসির যার যার নিজস্ব খোপে!
মাঝেমাঝে রাতে অন্ধকার বারান্দায় বসেও দেখি ওদের! মাথা বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে চুপচাপ!
খাবারের জন্য দৌড়াদৌড়ি নাই। টেস্ট চেঞ্জের জন্য যতটুকু ঘুরা লাগে — এর চাইতে বেশী তারা ঘুরেন না… মনে হয়। অবশ্য নিজেদের চিটচ্যাটতো থাকবেই।
আইলসামির কারনে আমার পাখিদের ওবেসিটি + ডায়াবেটিস + হ্রদয়সমস্যা হওয়ার চান্স আছে!!
এই সময়টায় গাছগুলো লকলক করে বাড়ে। গতকালই যাদের ছোট দেখলাম…আজ তারা আরেকটু বড়! সকালের সবুজে আমার প্রাণ ভরে যায়! মালি মুনির যখন একমনে কাজ করতে থাকে… আক্তার অফিস থেকে ফিরে গাছের পরিচর্যায় নেমে যায়… তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি!
বেঁচে থাকা কি অসম্ভব সুন্দর!
প্রতিটি মানুষের মধ্যে…. খুব ভিতরে একএকজন শিশুই তো! দিন যায়…. সে কখনও বৃদ্ধ হয়না!
এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ কি অদ্ভুতরকম সুন্দর!!
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে আরও আরও আরও দাও প্রাণ!
তব ভূবনে তব ভবনে
মোরে আরও আরও আরও দাও স্থান!!
আরও আরও আরও দাও প্রাণ!!
পাখি সব করে রব… আহা, অনবদ্য…
…
Comments are closed.