শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পেছালো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহনের দিন। নির্বাচন কমিশনের জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত হয় তারিখ পরিবর্তনের। ভোট গ্রহনের নতুন তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসএসসি পরীক্ষার সূচি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কথা জানান গণমাধ্যমকে। প্রায় ৪ ঘন্টার বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কমিশন সচিবালয়।
এর আগে, বিকেল ৪টার কিছু পরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য কমিশনাররা, দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৪ ঘন্টা বৈঠক করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে কমিশন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচন পেছানো নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা হয়েছে। আলোচনা অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন এনেছে।
স্মর্তব্য, গেল মাসের ২২ তারিখ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহন হওয়ার কথা। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পুজা।
সরস্বতী পুজার দিন নির্বাচন না করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে। পরে, ৬ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ নির্বাচন পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোট ১৪ জানুয়ারি রিটটি খারিজ করে দেন। খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে ১৬ জানুয়ারি।
অন্যদিকে, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ৪০ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এছাড়া শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে একই দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একত্মতা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামন।
এছাড়া পুজার দিনে ভোট গ্রহন না করার আহ্বান জানান দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সিপিবি’র মেয়র প্রার্থীরাও। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।