রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ততার জন্য সিনেমা দেখার সুযোগ পান না। তাই বিদেশ যাওয়া আসার সময় বিমানে বসেই বাংলা চলচ্চিত্র দেখেন… এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের গল্প সুন্দর, যা দেখে আমি অবাক হই।
রোববার বিকেলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মিলনমেলায় তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে কাহিনী ও চিত্রনাট্যের প্রশংসা করেন। দেশে সারাদিন নথি দেখেন তিনি। তাই বিনোদনের জন্য ছবি দেখার কাজটি যাত্রা পথেই সারেন। এসময় তিনি জীবন ঘনিষ্ঠ ও গঠনমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বলেন, ১৯৫৬ সালে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন… পাকিস্তানে যদি ভাল ও শক্তিশালী চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারে তাহলে আমাদের এখানে কেন পারা যাবে না। এ ভাবনার জায়গা থেকেই বঙ্গবন্ধু এফডিসি প্রতিষ্ঠা করেন।
এবারে চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। এরপর আজীবন সম্মাননা স্মারক দেয়া হয় সাদা-কালো যুগের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া নায়িকা সুজুতা ও রঙিন নবাব সিরাজদৌলা খ্যাত প্রবীর মিত্রকে। এছাড়াও আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন নায়ক ও প্রযোজক আলমগীর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।