বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ছে

আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন-২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইন পাস হলে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পরিবার।

সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ ৩৪ টাকা (প্রায়)। যা বর্তমানে আছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ’ টাকা (প্রায়)।

সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের মন্ত্রিসভা বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ দেন। তিনি জানান, আকাশ পথে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে মন্ট্রিল কনভেনশন-১৯৯৯ এর আলোকে এই আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ট্রিল কনভেনশনটি অনুস্বাক্ষর ও যাত্রীর মৃত্যু, আঘাত এবং মালামাল নষ্ট বা হারানোর ক্ষতিপূরণ দেয়ার পদ্ধতি সহজ করতে মন্ট্রিল কনভেশন অনুযায়ী আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন, ২০২০-এর খসড়া তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালে নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটি পাশ হলে যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাত, ব্যাগেজ ও কার্গো ক্ষতি বা হারানো গেলে আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।

তিনি জানান, পুরনো আইনে মৃত্যু বা আঘাতজনিত কারণে ক্ষতিপূরণ আগে ছিল ২৫ লাখ ফ্রাঙ্ক বা বাংলাদেশি টাকায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬শ’ টাকা (প্রায়)। নতুন আইনে এটি হবে এক লাখ এসডিআর বা এক লাখ ৩৮ হাজার ৫শ ৪৪ মার্কিন ডলার। এর পরিমাণ বর্তমান দর হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় হবে এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩শ’ ৩৪ টাকা (প্রায়)।

সচিব জানান, ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় হবে এক হাজার এসডিআর বা ৫ হাজার ৭৩৪ মার্কিন ডলার। আগে এটি ছিল ২০ মার্কিন ডলার। ব্যাগেজ হারানো বা নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ হবে প্রতি কেজিতে ২০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ১ হাজার ৩শ’ ৮১ মার্কিন ডলার। এছাড়া কার্গো নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ হবে প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে যাত্রীর মৃত্যু হলে যত্রীর সম্পত্তির বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এই আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ ভাগ হবে। সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজের বা বীমাকার প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা অথবা আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *