সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেখেছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভোট গ্রহণে অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। সেই বিবেচনায় তারা জাতীয় সংসদের তিনটি শূণ্য আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেনি। ফলে ভোটারবিহীন অবস্থায় চলছে উপ-নির্বাচন। রাজধানীতে সব কেন্দ্রেই ভোটার নেই বললেই চলে। ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে উপস্থিতি কম বললেও কম করে বলা হয়, অবস্থা এতোটাই নাজুক।
ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট গৃহীত হয়েছে দুইটি। পোলিং অফিসার ও প্রার্থীদের এজেন্টরা জানিয়েছেন, তারা ভোটারের অপেক্ষায় আছেন। ভোটাররা সোনার হরিণের চেয়েও দুষ্প্রাপ্য।
নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে গণমাধ্যম কর্মীরা গিয়েছেন পরিস্থিতি দেখতে। কোথায়ও ভোটারের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি কারোই।
ঢাকা-১০ নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি এমনই, ভোটারের চেয়ে এজেন্টের সংখ্যা বেশি। তারচেয়ে বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা।
ঢাকার উপ-নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। একই মেশিনে যেহেতু অনেককেই হাত ছোঁয়াতে হবে তাই করেনা সংক্রমণের ভয়ে ভোট দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না ভোটাররা, এমনটাই বললেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েকজন ভোটার।
ঢাকা-১০ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ফলে গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়।
এই আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম রবি, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী।
ঢাকা-১০ আসনে ভোটর সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন। মোট ১১৭টি কেন্দ্রে ৭৭৬টি কক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে।
ঢাকা-১০ আসন ছাড়াও আজ সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ চলছে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।