ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র শপথ নিয়েছেন। দুই মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মেয়রদের দায়িত্ব পালনে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান। শেখ হাসিনা দুই মেয়রকে মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দেয়ার পরামর্শ দেন। অসাধারণ সেন্স অব হিউমারের জন্য সুখ্যাতি পাওয়া প্রধানমন্ত্রী মেয়রদের বলেন, ‘আপনারা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। না হলে মশা কিন্তু ভোট খেয়ে ফেলবে।’ জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি না করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি দুর্নীতি করেন, কোন ছাড় দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে দকিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা মনযোগ দিয়ে কাজ করবেন। মশার উপদ্রব কমাবেন। ক্ষুদ্র প্রাণী হলেও মশা খুব শক্তিশালী। মশাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন। কেউ আপনাকে ভোট দিয়েছে, আবার কেউ দেয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর আপনি সবার প্রতিনিধি। এটিই গণতন্ত্রের নিয়ম। এটি মাথায় রেখেই সবার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দক্ষিণ সিটিতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরে আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে মেয়র পদে উত্তর সিটিতে ৬ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৭ জন প্রার্থী ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার শপথগ্রহণ হলেও নির্বাচিতদের দায়িত্ব পালনে কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দক্ষিণ সিটিতে ছাঈদ খোকনের মেয়াদ রয়েছে মে মাস পর্যন্ত। তাই তার আগে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে দায়িত্ব পালনের জন্য মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একইভাবে কাউন্সিলরদের মধ্যে যারা নতুন নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরও পুরনোদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে আগে কাউন্সিলর ছিলেন, এবার আবার নির্বাচিত হয়েছেন তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।
অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় সেখানে উপ-নির্বাচন হয়। তাতে জয়ী হয়ে আতিকুল ইসলাম ৯ মাস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আরপিও অনুযায়ী তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেন।