মজনুই ধর্ষক, দাবি ডিবি’র

ফরেনসিক প্রতিেবদন ডিবি'র হাতে

0
1737
ফাইল ছবি

গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গ্রেফতার হওয়া মজনুই ধর্ষণ করেছে। তাদের দাবি, ভিকটিম ও ধর্ষকের দেয়া তথ্যে মিল পাওয়া গেছে। এছাড়া ধর্ষণের আলামতগুলোও প্রমাণ করে সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুই ওই ছাত্রীর ওপর নীপিড়ন চালিয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিকটিমের দেয়া তথ্যের সাথে মজনুর বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে। ওই ভবঘুরেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই সব আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন ডিবির কাছে জমা পরেছে।

ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে তা ফরেনসিকে পাঠায় সিআইডি। ফরেনসিকের রিপোর্টের সাথে মজনুর করা বিভিন্ন পরীক্ষার মিল পাওয়া গেছে। এখন শুধু  বাকি আছে ওই তরুণীর ভেজাইনাল সোয়াবের সাথে মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন মেলানো।

৫ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যার পর ভুল করে শেওড়ার পরিবর্তে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে পরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে একটি ঝোপে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে সে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আসে। সেখান থেকে বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়।

এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ভিক্টিম ছাত্রীর বাবা মামলা করেন।

৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মজনুকে আদলতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রিমান্ড আবেদনের শুনানীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, ওই ছাত্রী কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ৪০-৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠের পাশে পৌঁছালে আসামি পিছন দিক থেকে তার গলা চেপে ধরে। তাকে ফুটপাতে ফেলে দেয়। ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামি তাকে ভয় দেখায় এবং কিল ঘুষি মারে। এতে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন আসামি মজনু ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

আবেদনে আরও বলা হয়, র‌্যাব-১ গত ৮ জানুয়ারি আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভিকটিমের ব্যাগ, সেল ফোন, পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির একটি প্যান্ট ও জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার নাম, ঠিকানা জানায় এবং ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা-সহ আরও তথ্য পেতে তাকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

এর মধ্যেই ভিকটিম ও অভিযুক্তের বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছিল। এর অধিকাঙশের প্রতিবেদনই গোয়েন্দা পুলিশের হাতে পৌছেঁছে।