রাজাকারের তালিকায় নিজের নাম দেখে ক্ষুধ্ব ও অপমানিত বোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, রাজাকারের তালিকায় নাম দেখার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল ছিল।
অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী জানান, ১৯৭১ সালের ১২ আগস্ট তার বাবা সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে ওয়াপদা বধ্যভূমিতে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যা করে। লাশটিও পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর সুধীর চক্রবর্তীকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তপন চক্রবর্তী বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বরে আমি ট্রেনিংয়ের জন্য ভারত যাই। ট্রেনিং শেষে অক্টোবরে দেশে ফিরে ৯ নম্বর সেক্টরে সাতক্ষিরা, খুলনা ও বরিশাল জেলায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেটেও আমার নাম আছে। যুদ্ধের ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকায় আমার ও আমার মা ঊষা রাণী চক্রবর্তীর নাম এসেছে। এতে আমি মর্মাহত।”
অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর মেয়ে ডা. মণীষা চক্রবর্তী বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর নেত্রী। বরিশাল সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে তিনি বামজোটের প্রার্থী ছিলেন।