১৯৩০ সালের মহামন্দার চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। তারা সতর্ক করে বলছে, বিভিন্ন দেশের সরকার নিজ নিজ অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার জন্য কোটি কোটি ডলার সহায়তা প্যাকেজ দিচ্ছে। তারা এই সহায়তা দিতে যে সার্বভৌম ঋণ নিচ্ছে তা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে দ্বিতীয় মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
একই ধরনের আরেকটি সতর্ক বার্তা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মৃদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গেল সপ্তাহে আইএমএফ বলেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে অভাবনীয় এক সঙ্কটের মুখে পড়েছে বিশ্ব। ১৯৩০ এর মহমন্দার এবারই পুরো বিশ্ব সবচেয়ে বড় মন্দার মুখে পড়েছে।
আইএমএফ তাদের শঙ্কা প্রকাশের পরপরই ইআইইউ বলছে, দুর্বল ব্যালেন্স শিটের সাথে সাথে সরকারগুলোর ঋণ সঙ্কট আরেকটি মন্দার ঝুঁকি তৈরি করছে।
ইআইইউ-এর বৈশ্বিক পূবাভাষবিষয়ক পরিচালক আগাথে ডেমারাইস বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ, যেগুলো এই মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এরা প্রাদুর্ভাবের আগেই দুর্বল আর্থিক অবস্থানে ছিল। দেখা যাবে, এগুলোর কোন একটি দেশের সম্ভাব্য ঋণ সঙ্কট দ্রুত অন্য দেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে। যা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও খারাপ মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেনকে উদাহরণ হিসেবে টানছে ইআইইউ-এর আগাথে ডেমারাইস।
ইআইইউ মনে করছে, পশ্চিমা দেশগুলো যখন বিভিন্ন সময়ে লকডাউন তুলবে তখন বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি হবে খুবই ধীর। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন সময়ে লকডাউন করা এবং তা প্রত্যাহারের সময়ও যেহেতু এক হবে না, ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা হবে বিপর্যস্ত।
বিস্তারিত জানতে: