সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের ফোন করার ঘটনা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জামিনে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সুলতানা পারভীন ফোন করেন আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে। ফোনে আরিফকে তার সাথে হওয়া ঘটনাটিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন সুলতানা।
রোববার জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আরিফকে ফোন করেন। ফোনে আরিফকে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সাথে কথা না বলার জন্য। তবে তাদের ফোনালাপের যে রেকর্ড ফেসবুক ও ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে তা শুনলে বোঝা যায়, আরিফের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সাথে সুলতানা পারভীন সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
অডিওতে সুলতানা পারভীনকে বলতে শোনা যায়: “এখন মিডিয়াকে অ্যাভোয়েড করে থাকো। মিডিয়াতে কথা বলো না। দেখা যাক, আল্লাহ ভরসা। তোমার ভবিষ্যত নিয়ে আপাতত চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা তোমার পাশে থাকবো। তোমার মামলা প্রত্যাহার করে নেবো। একটু সময় দিও। একটু পজিটিভলি দেখতে হবে।… যাই হোক, একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তুমি একটু রেস্ট নাও। যাও। একটু নিরিবিলি থাকো।”
এনকআউন্টার বিষয়ে আরিফ জানতে চাইলে সুলতানা পারভীন বলেন, ‘এনকাউন্টারের মানসিকতা আসলে আমাদের ছিল না। ওইভাবে ছিল না।’ চোখ বাঁধা অবস্থায় নেয়া চারটি স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চান আরিফ। স্বাক্ষর করা কাগজগুলো ফেরত চাইলে সুলতানা পারভীন বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের আদেশে তোমার সই নিয়েছে। ওটা মোবাইল কোর্টের ইয়েতেই। আচ্ছা যাই হোক, এখন ঘটনা যেভাবে ঘটে গেছে, যা ঘটেছে তুমিও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেইখো। আমি নিজেও আসলে অনুতপ্ত। ’