ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে তারা তাদের সম্পদের হিসাব উল্লেখ করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জানিয়েছেন তার ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে তার নিজস্ব কোন গাড়ি নেই। অন্য দিকে, বিএনপি প্রার্থী জানিয়েছেন, তার কোন ঋণ নেই এবং তিনি গাড়ির মালিক। দুই প্রার্থীর আয় ব্যয়ের হিসেবে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে বেশি অর্থ-বিত্তের মালিক।

ঢাকা-১০ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি। তিনি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। অর্থ সম্পদের দিক থেকে তিনি পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিউল আলমের চেয়ে। তবে শফিউল আলমের মত তিনি ঋণগ্রস্ত নন। তার নিজের গাড়িও রয়েছে। যার দাম ২৪ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় শেখ রবিউল আলম রবি জানিয়েছেন, তার নামে ৭১টি মামলা রয়েছে। তিনি ঋণখেলাপি নয় বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়। নিজেকে ব্যবসায়ী এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হিসেবে উল্লেখ করা হয় হলফনামায়।

রবিউল আলমের বাৎসরিক আয় ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬১২ টাকা। তার নামে কৃষি ও অকৃষি জমি, ভবনসহ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার। রবিউল আলম রবির নিজ নামে অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ টাকার। গাড়ি রয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের।
এছাড়া স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৫২ টাকার স্থাবর সম্পত্তির কথাও হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। জানানো হয় স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে। তার মূল্যমান ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
রবিউল আলম রবি পেশায় ব্যবসায়ী। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স আর বি এন্টারপ্রাইজ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করেন এবং মেয়র নির্বাচিত হন। তার পদত্যাগের কারণে আসনটি শূণ্য হয়। শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। এতে সবগুলো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।