মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের কিছু মানুষ পক্ষ নিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর। তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য দিত। দেখিয়ে দিত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প অথবা যেসব বাড়িতে যোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়া হতো সেসব বাড়ি। শুধু তাই নয়, এরা নিজেরাও অস্ত্র হাতে চড়াও হতো মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর।
এই কুলাঙ্গাররা বাঙালি মেয়েদের, নারীদের ধরে নিয়ে যেত পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে। লুটপাট করার ঘটনা ছিল নিত্য দিনের।
বাংলাদেশের রাস্তাঘাট পাকিস্তানি সেনাদের কাছে অপরিচিত ছিল। এরাই সেনাদের বিভিন্ন অপারেশনে রাস্তাঘাট চিনিয়ে দিত।
বাঙালি হয়েও এরা নিজেদের পাকিস্তানি ভাবতো। এসব মানুষরূপী জানোয়াররা রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, মুজাহিদ কমিটি ও শান্তি কমিটির ব্যানারে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।
মূলত জামাতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, কনভেনশন মুসলিম লীগসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো এইসব বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় নয় মাস ধরে বিভিন্ন অপকর্ম করে। এমন ঘৃণ্য কাজের জন্য পাকিস্তান সরকার তাদের বেতন দিত।
রোববার এই যুদ্ধাপরাধীদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রথম তালিকায় আছে ১০ হাজার ৭শ’ ৮৯ জনের নাম ঠিকানা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ৬৫৯ পৃষ্ঠার পিডিএফ ফাইলে তালিকা দেয়া হয়েছে উপজেলাভিত্তিক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তালিকা প্রকাশের সময় জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের পুরো তালিকা প্রকাশ করা হবে।