সেন্টমার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারটি গোপনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (আজ) সকাল ৭টার দিকে গভীর সমুদ্রে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত ১৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬২ জনকে।
কোস্টগার্ডের তিনটি ইউনিট, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সেন্ট মার্টিন বোট মালিক সমিতিসহ আরও কয়েকটি সংস্থার সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্দঅর অভিযানে আরও কয়েকজন রোহিঙ্গাকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যেতে পারে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল।এ জন্য তারা দালালের সাহায্য নিয়েছিল। সোমবার রাতে তারা রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালিয়ে দুইটি ট্রলারে করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি ডুবন্ত প্রবাল প্রাচিরে ধাক্কা খায় একটি ট্রলার। এতে ট্রলারটি প্রথমে উল্টে যায়। এসময় আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা ট্রলালের উল্টে যাওয়া খোলে চেপে বসার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ট্রলারটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ৭০ রোহিঙ্গা অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল। তাদের সাথে ১০ বাংলাদেশিও ছিল। এই পর্যন্ত নিহত ও আহত মিলে ৭৬ জনকে উদ্ধার করা গেছে। চালকসহ ট্রলারটিতে প্রায় ৯০ জন ছিল।