র‌্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে

0
1655
র‌্যাগিংয়ের শিকার এক শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ছবি: সেল ফোনে ধারণকৃত

র‌্যাগিংয়ের শিকার হলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। দুই জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

এই দুই শিক্ষার্থীর একজন থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা রহমান লিয়োনা এবং অন্যজন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইমরান।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেকপোস্টের পাশের একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ছাত্রীনিবাসে লিয়োনাকে ম্যানার শেখানোর নামে মাত্রাতিরিক্ত র‌্যাগিং করা হয়ে। এতে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে লিয়োনা।

অসুস্থ অবস্থায় লিয়োনাকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে লিয়োনা হাসপাতালের ১০ নম্বর ফিমেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এছাড়া, একাধিকবার র‌্যাগিংয়ের শিকার ইমরান বৃহস্পতিবার রাতে আবারও আক্রান্ত হয়। র‌্যাগিংয়ের এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অজ্ঞান অবস্থায় শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়। এরপর তাকেও প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি রোধ করতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার এই দুই শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতাল যান ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলী ও সহকারি প্রক্টর আল জাবির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, র‌্যাগিংয়ের শিকার দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি জানালেন, এ অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য  দুই দিন সময় দেয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলীকে। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান। কমিটির দুই সদস্য হলেন অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মাসুদ চৌধুরী ও দোলন চাঁপা হলের প্রভোস্ট শারমিন তানিয়া।