শর্ত ছাড়াই ইরানের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি জানাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের অবস্থান জানিয়ে এ বিষয়ে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না পরে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার যৌক্তিকতা তুলে চিঠিতে বলা হয়, নিজেদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সোলাইমানিকে হত্যা করাও সঠিক ছিল বলে চিঠিতে দাবি করা হয়। চিঠিতে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য ও স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিবে।
এদিকে, জাতিসংঘকে দেয়া চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে ইরান। তারা জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে হামলার কারণ উল্লেখ করে।
সনদের ৫১ ধারা বলছে, কোন রাষ্ট্র যদি নিজেকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেয় তবে তা দ্রুতই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানাতে হবে।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভাঞ্চি জানিয়েছেন, ইরান যুদ্ধ বা উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী না।
তিনি বলেন, মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে।