মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের নির্মমতায় মারা গেলো চার বছরের ছোট্ট শিশু মো. আদিল। গাজীপুরের কালীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই শিক্ষক শিশুটিকে হত্যা করে কেবিনেটে লুকিয়ে রাখে।
বুধবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মরাশ জামিয়াতুল মাদ্রাসা ও এতিমখানার একটি কেবিনেট থেকে আদিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আদিল ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুফতি জোবায়ের আহমেদের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলের ধসালিয়া গ্রামে।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে আদিল মাদ্রাসার পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
আদিলের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে মসজিদের মাইকে জানানো হয়। এরপর গ্রামবাসী আশপাশে খোঁজ করেও আদিলকে পায়নি। কোথাও না পেয়ে সবাই মাদ্রাসার ভিতরে খুঁজতে শুরু করে। সেসময় মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ৩০ বছর বয়েসী জোনায়েদ আহমেদ ও ২৫ বছর বয়েসী খাইরুল ইসলামের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।
গ্রামবাসী দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে।
জেরার মুখে জোনায়েদ ও খাইরুল কেবিনেটে আদিলের লাশ লুকিয়ে রাখার কথা জানায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।