হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ইতিহাসের মহানয়াক, স্বাধীনতার অমর কবি।
জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বছর ব্যাপি কর্মসূচি। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাগম সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানগুলো আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাত্রভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবু নাসের জানান, মুজিব বর্ষের মূল অনুষ্ঠান টেলিভিশনেই প্রচার করা হবে।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু রাত ৮টার দিকে জন্ম নিয়েছিলেন। আমরা সেইক্ষণে উৎসব করতে চাই। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি সারাদেশে রাত ৮টায় আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। পরে দেশের সব টেলিভিশন, বিদেশি টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একযোগে প্রচারিত হবে ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান। দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের ভাষণ থাকবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে একটি কবিতাও শোনা যাবে ওই অনুষ্ঠানে।
কামাল আবদুল নাসের বলেন, মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান প্যারেড গ্রাউন্ডে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। আমরা টিভি পোগ্রাম তৈরি করেছি। তাতে আতশবাজি ও লেজার শো থাকবে।
তিনি বলেন, রাত ৮টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে। টেলিভিশনে তা প্রচার হবে। আতশবাজি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশনগুলোতে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে একটি কবিতা শোনা যাবে, যেটি লিখেছেন শেখ রেহানা। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রধানদের বক্তব্য প্রচারিত হবে।
কামাল আবদুল নাসের বলেন, মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান টেলিভিশনেই প্রচারিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিশু সমাবেশ হবে না। আতশবাজি করা হবে জনাসমাগম এড়িয়ে।
এক প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় কমিটির এই সমন্বয়ক বলেন, নেপালের রাষ্ট্রপতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব ও ওআইসির মহাসচিবের বক্তব্য থাকবে ওই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে মুজিব বর্ষের থিম সং, যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে পিক্সেল ম্যাপিং, সেখানে থাকবে লেজার শো। রেকর্ডেড অনুষ্ঠানের আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আতশবাজি ও পরে জাতীয় সংসদের লেজার শোও টেলিভিশনগুলোতে প্রচার হবে। এর আগে বিকেল ৫টায় গণভবনে স্মারক ডাকটিকিট ও স্যুভেনির উন্মোচন করবেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সংগীতশিল্পী রেজওয়ান চৌধুরী বন্যা উপস্থিত ছিলেন।