সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

0
887

সন্ত্রাস-মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের যদি শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে তাহলে অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী, অগ্রগতি হতেই হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা করতে চাই।

সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো কাছে মাথা নত করে নয়, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সশস্ত্র বাহিনী যে কোন অবস্থায় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সবসময় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনেভূমিকা রেখে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে।

দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ শতাংশ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। অর্থাৎ, আমরা যত বার্ষিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করি তার ৯০ শতাংশ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, দেশকে আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্রকে বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাজেট বাড়িয়েছি। সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। অন্য অনেক সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। এসময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যকক্রমের কথাও তুলে ধরেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আমন্ত্রিত রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।