সভা সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। বললেন, এই দাবিতে বিএনপি সভা সমাবেশ করার মানেই হলো আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কুতিক জোটের অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগাম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আদালত থেকে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির আর কোন পথ নেই।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনপ্রিয়তার পরও ভারতের জয়রাম জয়ললিতা ও পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফকে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জয়ললিতার গ্রেফতার ও মৃত্যুর পর তার অনেক ভক্ত জীবন দিয়েছেন। কিন্তু তার দল কখনও আদালতের সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে সমাবেশ বা আন্দোলন করেনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দেশই স্বাধীন করেননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধে গৃহহীন এক কোটি মানুষের পাশাপাশি ভারত থেকে ফিরে আসা আরও এক কোটি মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশ পিছিয়ে পরেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারেন না, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ… তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। এইসব ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার রানাসহ সংগঠনের নেতারা।