সাংবাদিককে রাতভর নির্যাতন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় সদ্য জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সুলতানা পারভীন নিজেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক পদ থেকে প্রত্যাহার হওয়া সুলতানা পারভীন নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন।

সুলতানা পারভীন কুড়িগ্রাম ত্যাগের আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের বাড়িতে মধ্যরাতে হানা দেয়া এবং তাকে নির্যাতনের ঘটনার সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না।
ফেসবুক পোস্টে সুলতানা পারভীন কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে কি কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তার ফিরিস্তি দিয়েছেন। দোয়া চেয়েছেন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সুলতানা পারভীন বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট পরিচালনা নিয়ে সৃষ্ট সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় পরিবেশিত ও প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে আমার অবস্থান এবং কুড়িগ্রাম জেলায় দু’বছর কর্মকালে আমার কতিপয় গৃহীত উদ্যোগ অবহিত করছি। গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় কুড়িগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৬ জন পুলিশ, ৫ জন আনসার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টরসহ ৩ জন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। আমি পরদিন ১৪ মার্চ সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও আদেশের বিষয়টি অবহিত হই। সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে মর্মে আমাকে অবহিত করেন। অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা অনাকাঙ্খিত এবং এ বিষয়ে আমাকে দায়ী করে যে সংবাদ প্রকাশিত ও পরিবেশিত হচ্ছে তাতে আমি প্রচণ্ডভাবে মর্মাহত।’

এ দিকে, অভিযুক্ত সুলতানা পারভীন জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফকে ফোন করেন। আরিফ ও সুলতানার সেই ফোনালাপের অডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফোনালাপের অডিও থেকে জানা যায়, নিজেকে রক্ষার জন্য সুলতানা পারভীন অনুরোধ করেন আরিফ যেন মিডিয়ার সামনে কথা না বলেন।