আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে ঝাঁপিয়ে পরে নিরীহ বাঙালিদের ওপর। গ্রেফতারের আগমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাঙালি জাতি স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে না। করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ২৬ মার্চ ভোর পর্যন্ত পাকিস্তানিরা নির্বিচারে হত্যা করে ঘুমন্ত বাঙালিদের। পরবর্তী ৯ মাসে তারা হত্যা করে ৩০ লাখ বাঙালিকে। প্রায় তিন লাখ নারীর সম্ভ্রমহানি করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। এর সাথে যুক্ত হন পাকিস্তান সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট (বর্তমান বিজিবি), আনসার বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
আজ বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশেন সব নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।