করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, জরুরী সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর: বাসস।
শনিবার দুপুরে সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, পণ্যবাহী পরিবহন ও ট্রাকে কোনভাবেই যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্সের মত উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথাসময়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে যানবাহনের ফিটনেস কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে জরিমানা ছাড়া নির্ধারিত ফি ও কর দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্স আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এ সময় সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণের জন্য দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তবে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো যেন লক্ষ্য রাখা হয় সে বিষয়েও সতর্ক করেন।